ক্যান্সার থেকে ডায়াবেটিস, টমেটোর জাদুকরী গুণে দূর হবে  সব জটিল সমস্যা : 

 

ফলের রাজা যদি হয় আম, তবে সবজির রাজা অবশ্যই বলা উচিত টমেটোকে। হার্টের সমস্যা ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা রুখতে টমেটোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু খাওয়ার প্লেটে নয়, রূপচর্চারও অন্যতম উপাদান টমেটো। জেনে নিন টমেটোর কিছু গুণ-

১। চোখের জন্য টমেটো :- চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে টমেটোর ভূমিকা অপরিসীম। শিশুদের ডায়েটে তাই অবশ্যই রাখুন টমেটো।

হাড়ের সমস্যা সমাধানে টমেটো :- টমেটোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে থাকে। হাড়ের টিস্যু ঠিকঠাক রাখতে ও ছোটখাট সমস্যা দূর করতে টমেটোর ব্যবহার অপরিহার্য্য।

২। ত্বকের যত্নে টমেটো :- টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন প্রচুর পরিমানে  থাকে। যে কারণে অনেক ফেসিয়ালের মূল উপাদান থাকে টমেটো। ত্বকের কালো ছোপ যেমন দূর করে টমেটো, তেমনই ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায়। যদি বাড়িতে টমেটো ব্যবহার করতে চান তবে ৮ থেকে ১২টা টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোর খোসা দিয়ে অন্তত ১০ মিনিট পুরো মুখ ঢেকে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখাবে।

৩। ক্যান্সার প্রতিরোধক টমেটো :- টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন কোলোরেকটাল বা পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়। টমেটো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। রান্না করা টমেটো কাঁচা টমেটোর থেকেও বেশি উপকারী ।  যত পারুন টমেটো স্যুপ খান, রান্নাতেও টমেটো ব্যবহার করুন ।

৪ । হার্টের দেখাশোনায় টমেটো :- টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে যদি টমেটো থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি কমে যায়।

৫। টমেটোই সেরা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট :- টমেটোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ থাকে । এই ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে যা রক্তের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে ভাসমান এইসব রাসায়নিক শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। টমেটো বেশি  লাল হলে বিটা ক্যারোটিনের পরিমান বেশি থাকবে। তবে রান্নার ফলে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়, তাই যত পারেন কাঁচা টমেটো খান।

এছাড়া টমেটোর মধ্যে থাকা কোমেরিক অ্যাসিড ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ধুমপানের ফলে শরীরে যে ক্ষতি হয় তার প্রভাব কমাতে পারে ।